আরও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি

Passenger Voice    |    ০৩:০৩ পিএম, ২০২৩-১১-০৬


আরও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি

বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো বুধ ও বৃহস্পতিবার আবারও ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে। তবে মঙ্গলবার কোনো কর্মসূচি থাকছে না।  

সোমবার (৬ নভেম্বর) লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির ডাকা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করার জন্য এলডিপির নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। দেশবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ— আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনরত দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্মসূচি সফল করুন।

জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে বিকেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল করির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে আর গণতন্ত্র মঞ্চ বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা  বলেন, ৮ ও ৯ তারিখ আমরা সারা দেশে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করব। 

উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করছে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।  

এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে তারা।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও  টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়, পুলিশের বহু সদস্যকে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন। 

হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। ওই কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

 

 

প্যা/ভ/ম